গাজী নাসিফুল হাসান: বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ( বিপিএল ) ফুটবলের ২০১৯-২০ মৌসুম গত মার্চে বন্ধ হয়ে যাবার পর সেই আসর স্থগিত হয়ে যায়। তবে বাফুফে চাইছিলো পরবর্তী বিপিএল ফুটবলের আসর অর্থ্যাৎ ২০২০-২১ মৌসুম দ্রুত শুরু করতে। তবে কবে নাগাদ পরবর্তী বিপিএল এর আসর শুরু হবে তা এখনো চূড়ান্ত নয়। তবে এ বছরের ডিসেম্বরে শুরু করার প্রস্তাবনা এসেছে। আগামী বিপিএল এর আসর দুই পর্ব কম সময়ের মধ্যে শেষ করতে আগ্রহী দেশের সিংহভাগ ফুটবল ক্লাবগুলো। সেই সঙ্গে পরের মৌসুম হতে পারে বিদেশি ফুটবলারহীন। পরিত্যক্ত হওয়া লিগে ফুটবলাররা খেলবে তাদের আগের ক্লাবেই।
আজ মঙ্গলবার ( ১ সেপ্টেম্বর ) পেশাদার লিগ কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে এইসব প্রস্তাবনা এসেছে। উক্ত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দেশের প্রিমিয়ার লিগের ১৩টি ক্লাবের কর্মকর্তারা।
আজকের বৈঠকে যে যে প্রস্তাবনা উঠেছে তার মধ্যে একটি ছিলো পরবর্তী ফুটবল লিগে সাতটি ভেণ্যু থেকে কমিয়ে তিণটি বা চারটি ভেণ্যুতে খেলা হতে পারে। ঢাকা এবং তার আশেপাশের ভেণ্যুগুলো দিয়েই পরবর্তী বিপিএল ফুটবল মৌসুম শেষ করতে চায় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন ( বাফুফে )।
এছাড়া আরেকটি যে প্রস্তাবনা এসেছে সেটি হলো পরবর্তী লিগে বিদেশি ফুটবলার বাদ দিয়ে লিগ আয়োজন করার প্রস্তাব দিয়েছে বেশিরভাগ ক্লাব। করোকালীন সময়ে যে আর্থিক সঙ্কট রয়েছে সেটি বিবেচনায় এসে বিদেশিহীন লিগের প্রস্তাব উঠেছে। বিদেশিহীন লিগ করার পক্ষে ১৩টি ক্লাবের মধ্যে ১০টি ক্লাব রায় দিয়েছে। যারা যারা বিদেশিহীন লিগ করার পক্ষে রায় দেয়নি তারা হলো: বসুন্ধরা কিংস, ঢাকা আবাহনী ও শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। এছাড়া পরবর্তী বিপিএল ফুটবল এবছরের ডিসেম্বরের মধ্যে করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।
এইসব প্রস্তাবনা নিয়ে বাফুফের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ও পেশাদার লিগ কমিটির চেয়ারম্যান আবদুস সালাম মুর্শেদী সাংবাদিকদের বলেছেন, ” ক্লাবগুলোর পরামর্শ ও করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে এই প্রস্তাবগুলো নেয়া হয়েছে। এছাড়াও ভেণ্যু সংখ্যা কমে আসছে খেলাগুলো ঢাকা ও তার আশেপাশে করা হতে পারে। এতে করে যাতায়াত সহজ হবে। এছাড়া লিংগটা দ্রুত শেষ করার প্রস্তাবনাও এসেছে।”
উক্ত প্রস্তাবনাগুলো চিঠি দিয়ে ক্লাব কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়ে দিবে পেশাদার লিগ কমিটি। এক সপ্তাহের মধ্যে সেগুলো পর্যালোচনা করে জবাব দিবে ক্লাবগুলো। পরবর্তীতে ১১-১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ক্লাবগুলোর সঙ্গে বসে লিগের সব বিষয় চূড়ান্ত করা হবে।