ইকবাল হাসান:
ফুটবলকে অনেক নারী পেশা হিসেবে নিলেও বয়স ৩০ ছোয়ার আগেই হারিয়ে যাচ্ছেন। এক সময় জার্সি, বুট জুতা জোগাড় করে কোন রকমে খেলা চালিয়ে গেলেও বয়স বাড়ার সাথে সাথে চাই উন্নত প্রশিক্ষণ। এই বিষয়ে জাতীয় নারী দলের সাবেক ম্যানেজার মিনি করিম নারী ফুটবলের সম্ভাবনার কথা মনে করিয়ে বলেন, ‘পর্যাপ্ত পরিচর্যা পেলে মেয়েরা অন্তত এশিয়ায় শক্তিশালী প্রতিপক্ষ হতে পারে।’
এক সময়কার অবহেলিত নারী ফুটবল দল দুর্দান্ত প্রতাপের সাথে এগিয়ে যাচ্ছে সময়ের সাথে। দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবল দলগুলোর মধ্যে ছেলেদের ফুটবল ধীরে ধীরে জায়গা হারালেও ক্রমেই শক্তিশালী হয়ে উঠছে বাংলাদেশের নারী ফুটবল দল।
২৬ গোল খাওয়া নারী ফুটবল দল এখন সবাইকে ছাপিয়ে ক্রমেই এগিয়ে যাচ্ছে। এই এগিয়ে যাওয়া নিয়ে নারী ফুটবল দলের সাবেক ম্যানেজার মিনি করিম বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছর পর নারী ফুটবল অনেক এগিয়েছে।’
প্রতিভাবান খেলোয়াড় পেলেও ক্রমেই তারা হারিয়ে যাচ্ছে। বয়সের কারনে অনেকে ফুটবল ছেড়ে দিচ্ছেন। কিন্তু আধুনিক প্রযুক্তিসমৃদ্ধ ট্রেনিংয়ের দলের সিনিয়র খেলোয়াড়দের খেলার উপযোগী করা যায়। ১৭ বছর ধরে দেশের নারী ফুটবল নিয়ে কাজ করা মিনি করিম আরো বলেন, ‘যারা বয়সের একর্ণে ঝরে যাচ্ছে তাদের আধুনিক প্রযুক্তিসমৃদ্ধ নতুন নতুন টেকনিকে প্রশিক্ষণ দিয়ে যোগ্য করে ধরে রাখতে হবে। এর জন্য বাফুফেকে উদ্যোগ নিতে হবে।’
নারী ফুটবল নিয়ে ফিফার সাহায্য-সহযোগিতা বাড়লেও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের নারী ফুটবলের উন্নয়ন নিয়ে তেমন মাথা ব্যথা নেই।
ফেডারেশন সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ নারী ফুটবলারদের সাফল্য উল্লেখ করে বলেন, ‘আমাদের নারী ফুটবলাররা অনেক ভালো কাজ করছেন। পর্যাপ্ত সহায়তার মাধ্যমে তাদের পরবর্তী অবস্থানে নিয়ে যেতে হবে।’
উল্লেখ্য, চলতি বছরের অসমাপ্ত নারী লিগের বাকি খেলা নভেম্বরে পুনরায় শুরু কথা রয়েছে। তবে, প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ দল না থাকায় লিগের খেলার মান নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।