ইকবাল হাসান:
লোকে বলে লাল বল থেকে সাদা বলেই বেশি স্বাচ্ছন্দ ক্রিকেটার মোস্তাফিজ। তবে, এবার উভয় বলেই সক্রিয় হয়ে উঠতে চান।
তার ক্যারিয়ারের দিকে তাকালে দেখা যাবে ২০১৫ সালে অভিষেক হলেও টেস্ট খেলেছেন মাত্র ১৩ টি। অন্যদিকে, ওয়ানডে খেলেছেন ৫৮ টি, টি-২০ খেলছেন ৪১ টি। এই পরিসংখ্যানের উপর নজর বুলিয়ে মোস্তাফিজ শুধুই রঙিন পোশাকের ক্রিকেটার-ই মনে করতে পারে অনেকে।
তবে আশার কথা হল সাদা বল কেন্দ্রীকতা থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছেন দেশ সেরা এই পেসার।
ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটেই নিয়মিত হতে চান।২০১৯ সালের মার্চে ওয়েলিংটনে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বল হাতে শেষবার নেমেছিলেন বাঁহাতি এই বোলিং বিস্ময়। কাঁধের অস্ত্রোপচারে ছন্দ হারিয়ে ঘরের মাঠেও অনিয়মিত তিনি। গেল বছর সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে সিরিজেও বাইরে ছিলেন।
এই বিষয়টিই হয়তো তার চিন্তায় নতুন করে নাড়া দিয়েছে। তাই, করোনা সংক্রমণ ছড়ানোর আগে কোচ ওটিস গিবসনের সাথে কাজ শুরু করেছিলেন। তার পেস আক্রমণে কাজের সূত্রে নতুন অস্ত্রও যোগ হয়েছে। এই নিয়ে তিনি বলেন,
‘আমি তো চাই সব ফরম্যাটে খেলতে। এখন চেষ্টা করছি ফিটনেস বলেন, বোলিং, স্কিল বলেন কোন কাজগুলো করলে আমি সব ফরম্যাটে নিয়মই হতে পারি সেগুলো করার।’
মোস্তাফিজের পেস ভান্ডারে এখন শুধু কাটার, স্লোয়ার নেই। এই দুই অস্ত্রের পাশাপাশি আছে ইনসুইং। ওটিস গিবসন তাকে নতুন গ্রিপ শিখিয়েছেন। এতে বলা অহরহ ভিতরে ঢুকাতে পারছেন নেটে। এর জন্যই হয়তো নির্বাচকরা নতুন করে ভাবছেন তার ব্যাপারে।
করোনার জন্য মোস্তাফিজ বাকি খেলোয়াড়দের তুলনায় কিছুটা পিছিয়ে।কারন, সিংহভাগ সতীর্থরা জুলাইয়ের শেষ ও আগস্টের শুরুতে শুরু করেছেন সেখানে তিনি শুরুটা করেছেন আগস্টের মাঝামাঝিতে। প্রথমে ব্যক্তিগত অনুশীলন শুরু করলেও এখন করছেন দলীয় অনুশীলন। দিনে দিনে ছাড়িয়ে যাচ্ছেন নিজেকে।
তার অনুশীলনের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘আমি ঢাকা আসছি প্রায় এক মাস পাঁচ দিন হল। প্রথমে শর্ট রান আপে, দুই তিন স্টেপে বোলিং করেছি, বাড়িতেও করেছি। এখানে আসার পর আবার প্রথম থেকে শুরু করলাম। শুরুতে রানিং, জিম এসব ছিল পরে একজন ব্যাটসম্যান ব্যাটিং করবে দুইজন বোলার বল করবে এভাবে শুরু হয়। এখন ওভার অল সবকিছু ভালোই যাচ্ছে।’