এহসান ফারুকী
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সদস্য চাঁদপুরের ছেলে, মুন্সিগঞ্জে বড় হওয়া মোহামেডানের স্ট্রাইকার কে এম নওশেরুজ্জামান হয়ে উঠেছিলেন দেশের অন্যতম সেরা ও সফল স্ট্রাইকার। মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অন্যতম সদস্যও ছিলেন তিনি। ঢাকার বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে যার রয়েছে অনেক স্মৃতি সেই বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামেই আজ উনার জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। স্বাধীনতার পর মোহামেডান এর হয়ে প্রথম লীগ শিরোপার অংশীদার হিসেবে সর্বোচ্চ ২১ গোল করেছিলেন তিনি।
তবে বিদায় বেলা হয়তো আরও অনেক কিছু প্রাপ্য ছিল উনার। ফুটবলার, ক্রিকেটার নওশের স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল এবং প্রথম বাংলাদেশ জাতীয় দলের সদস্য হিসেবে নওশেরের শেষ বিদায়টা হলো বড়ই সাদামাটা। একটা দায়সাড়া গোছের আয়োজন বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে। সাকুল্যে শ’খানেক মানুষ উপস্থিত জানাযায়। যার অর্ধেক তার পরিবার ও আত্মীয়স্বজন। ক্রীড়াঙ্গনের চেনামুখ বলতে শুধু দেখা মিলল সাবেক জাতীয় ফুটবলার আব্দুল গাফফার, সফিকুল ইসলাম মানিক, ইকবাল, শাহনাওয়াজ খান শুভ্র আর স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের প্রতিনিধি সাত্তারের।
তবে, দু:খের কথা স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সঙ্গী জাকারিয়া পিন্টু, প্রতাপ শংকর হাজরা, কাজী সালাউদ্দীন, সাইদুর রহমান প্যাটেলের কেউ আসেননি তাকে শেষ বিদায় জানাতে।
যদি ও ফুটবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ আর দুই নির্বাহী সদস্য ইকবাল ও শাহনাওয়াজ শুভ্র এসেছিলেন।