ইকবাল হাসান:
চারবার আইপিএল শিরোপা যেতা মুম্বাইয়ের শুরুটা ভালো না হলেও শক্তিশালী কলকাতার সাথে তারা জয়ী হয়েছে।
দু’দলের শক্তির বিচারে যেরকম জমজমাট ম্যাচের আশা করা হয়েছিলো ঠিক সেরকম হয় নি। টস হেরে ব্যাট করা সাপে বড় হলো মুম্বাইয়ের জন্য। কারন, এই ম্যাচে রোহিত শর্মার ব্যাট হেসেছিলো।
যদিও প্রথমদিকে কুইন্টন ডি কককে (১) হারিয়ে বসে মুম্বাই। কিন্তু সূর্যকুমার যাদব ক রোহিত শর্মার ব্যাটিং সব ভুলিয়ে দিয়েছে। দ্বিতীয় উইকেটে দুইজনের ঝুটি ছিলো ৯০ রানের। ব্যক্তিগত ৪৭ রানের মাথায় যাদব ফিরে গেলেও রোহিত তার তান্ডব চালিয়ে যাচ্ছিলেন।
রোহিত শর্মা আউট হয়েছিলেন ব্যক্তিগত ৫৪ বলে ৮০ রান করে। মাঝখানে সৌরভ তিওয়ারি, হার্দিক পান্ডিয়া, কাইরন পোলার্ড ছোট ছোট কার্যকরী ইনিংস খেলেন। এতেই দুইশ ছুঁই ছুঁই স্কোর পায় মুম্বাই। মুম্বাই নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৯৫ রান সংগ্রহ করে ৫ উইকেট হারিয়ে।
এ দিন নারিন-গিল জুটি কাজে আসে নি। ২৫ রানে দুই ওপেনার হারায় কলকাতা। নীতিশ রানা ও ফিনেস কার্তিক কিছুটা হাল ধরার চেষ্টা করলেও শেষ রক্ষা হয় নি। শেষ দিকে, রাসেলের দিকেই হয়তো চেয়ে ছিলেন সমর্থকেরা। কিন্তু ১৬তম ওভারে বুমরাহ বোলিংয়ে ফিরে তুলে নেন ইয়ান মর্গান ও রাসেলকে।
এই ম্যাচে আট নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামা প্যাট কামিন্স কলকাতার পক্ষে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। ১২ বলে ৩৩ রান করেছেন চলতি আইপিএলের সবচেয়ে দামি বিদেশি ক্রিকেটাররটি। বোলিংয়ে খরুচে হলেও বুমরাহর করা ১৮তম ওভারে তুলেছেন ২৭ রান! অজি পেসারের ইনিংসে চার ১টি, ছক্কা ৪টি। এছাড়া, অধিনায়ক দিনেশ কার্তিক ২৩ বলে ৫ চারে ৩০ ও নিতিশ রানা ১৮ বলে ২৪ রান করেছেন। সবার ছোটখাটো অবদান শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৪৯ রান তুলেছে কলকাতা।
কলকাতা-মুম্বাই ম্যাচে মুম্বাইয়ের হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন ট্রেন্ট বোল্ট, জেমস প্যাটিসন, জামপ্রিত বুমরাহ ও রাহুল চাহার। শেষ পর্যন্ত ৪৯ রানের বড় জয় পেয়েছে মুম্বাই।