ইকবাল হাসান:
ম্যানচেস্টার সিটিতে পাঁচ মৌসুমে কেবল রক্ষণভাগের পেছনেই অর্ধ বিলিয়ন ডলার খরচ করেছেন পেপ গার্দিওলা। তবে তাতেও রক্ষণে ভারসাম্য খুঁজে পাচ্ছেন না এই স্প্যানিশ কোচ।
পাঁচ মৌসুমের রক্ষণ ভাগের চিত্র খানিকটা দেয়া হলো এখানে:
২০১৬-১৭ মৌসুমে ইউক্রেনের ক্লাব এফসি ইউফা থেকে ২০১৬ সালে আলেক্সান্ডার জিনচেঙ্কোকে দলে ভেড়ান গার্দিওলা। কিন্তু তাকে লেফট ব্যাক পজিশনে খেলতে দেখা গেছে। তার জন্য ১ দশমিক ৯ মিলিয়ন ডলার গুনতে হয়েছিল সিটিজেনদের। এছাড়া, একই মৌসুমে এভারটন থেকে ৫৫ দশমিক ৭ মিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে ইংলিশ সেন্টার ব্যাক জন স্টোনসকে দলে ভেড়ান গার্দিওলা। এই মৌসুম নিয়ে গার্দিওলার সাথে পঞ্চম মৌসুম তার। তবে, রুবেন ডিয়াজ সিটিতে নাম লেখানোয় জন স্টোনস হারাতে পারেন দলে তার জায়গা।
২০১৭-১৮ মৌসুমে টটেনহাম হটস্পার্স থেকে তরুণ ইংলিশ ফুলব্যাক কাইল ওয়াকারকে দলে ভেড়ান। তার জন্য গার্দিওলাকে গুনতে হয় ৬৩ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি। তারপর, রিয়াল মাদ্রিদ থেকে ব্রাজিলিয়ান ফুলব্যাক দানিলো, ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ানের দল মোনাকো থেকে বেঞ্জামিন মেন্ডিকে,বার্সেলোনা থেকে তরুণ সেন্টার ব্যাক এরিক গার্সিয়াকে, অ্যাথলেটিক ক্লাব বিলবাও থেকে স্প্যানিশ ডিফেন্ডার এমিরিক লাপোর্তেকে দলে টানেন গার্দিওলা।
২০১৮-১৯ মৌসুমে আগের মৌসুমগুলো থেকে রক্ষণ ভাগে কম খেলোয়াড় কিনেন গার্দিওলা। এই মৌসুমে তিনি ৩ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে ফিলিপ স্যান্ডলারকে কিনেন। ২০১৯-২০ মৌসুমে অ্যাগনিলোকে ৬ মিলিয়ন ডলারে, জাও ক্যানসেলোকে জুভেন্টাস থেকে ৭০ মিলিয়ন ডলার কিনেন।
২০২০/২১ মৌসুমে এসেও গার্দিওলা মনে করছেন তার রক্ষণ ভাগ আরো শক্তশালী করা প্রয়োজন। তাই, তিনি ১২০ মিলিয়ন ডলার খরচ করে পর্তুগিজ ক্লাব এফসি পোর্তো থেকে রুবেন ডিয়াজকে কিনেন। তারপরও তার কাছে রক্ষণ ভাগ শক্তিশালী মনে হয় নি। তাই তিনি বর্নোমাউথের ডিফেন্ডার নাথান একে’কে ৪৬ মিলিয়ন ডলারে দলে বেড়ান।
প্রথম চার মৌসুমে ১১জন ডিফেন্ডার দলে ভেড়ানোর পরও এখনও গার্দিওলা মনে করছেন তার দলের রক্ষণ যথেষ্ট শক্তিশালী নয়। আর লিভারপুলের কাছে শিরোপা হাতছাড়া হওয়ার কারণ তার ভঙ্গুর রক্ষণ। তাই তো পঞ্চম মৌসুম এসে আবারও রক্ষণে বড় দুই সাইনিং। এফসি বর্নোমাউথ থেকে নাথান একে এবং পর্তুগিজ ক্লাব এফসি পোর্তো থেকে রুবেন ডিয়াজ। যাদের জন্য প্রায় ১২০ মিলিয়ন ডলার।
উল্লেখ্য, সব মিলিয়ে রক্ষণভাগে গার্দিওলা ১২ জন খেলোয়াড় কিনেছেন তাতে মোট খরচের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে মোট ৫৬২ মিলিয়ন ডলার, ইউরোর হিসেবে যা ৪১৩ দশমিক ২ মিলিয়ন আর পাউন্ডে ৪০০ মিলিয়ন।