ইকবাল হাসান:
অন্যান্য নির্বাচনে ভোটে দাঁড়ানোর প্রথম ও প্রধান শর্ত ভোটার হওয়া হলেও এ নিয়মের বাধ্যবাধকতা নেই বাফুফের নির্বাচনে। ফিফার নিয়ম অনুযায়ী, দেশের যেকোন নাগরিক বাফুফের নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেন। প্রয়োজন শুধু একজন ভোটারের প্রস্তাব এবং আরেকজন ভোটারের সমর্থন।
এ নিয়মের সুবিধা নিয়ে ফুটবল অঙ্গনের বাইরের বেশ কয়েকজন দাড়িয়েছিলেন বাফুফের গত দুটি নির্বাচনে। নির্বাচনের গুরুত্বপূর্ণ নিয়মের মধ্যে আরেকটি নিয়ম হলো, বাফুফের নির্বাহী কমিটির কেউ কাউন্সিলর (ভোটার) হতে পারবেন না। ভোটে দাঁড়াবেন না- এ নিশ্চয়তা দিয়ে সর্বশেষ নির্বাহী কমিটির সদস্য আবদুর রহিম কাউন্সিলর হয়েছেন। বর্তমান কমিটির বাকি ২০ জনই ভোটার নন। কারন, তারা সবাই এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন।
প্রার্থীদের ভোটের ক্ষেত্রে কাজী মো. সালাউদ্দিনের নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত পরিষদের চেয়ে এগিয়ে আছে শেখ মোহাম্মদ আসলামের নেতৃত্বাধীন সমন্বয় পরিষদ। সম্মিলিত পরিষদের ২১ প্রার্থীর মধ্যে ভোট আছে ৭ জনের, সমন্বয় পরিষদের ১৯ প্রার্থীর মধ্যে ভোটার ১২ জন।
বর্তমান নির্বাহী কমিটির বেশিরভাগ সম্মিলিত পরিষদের প্রার্থী হওয়ায় তাদের প্যানেল ভোটার কম। গত নির্বাহী কমিটির যে ২০ জন নির্বাচন করছেন তার মধ্যে কাজী মো. সালাউদ্দিনের প্যানেলেই ১৪ জন। শেখ মোহাম্মদ আসলামের প্যানেলে সর্বশেষ নির্বাহী কমিটির ৪ জন। দুই জন আছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে।
সমন্বয় পরিষদে যে ১২ প্রার্থী নিজেরা ভোট দিতে পারবেন, তারা হলেন- সহসভাপতি আবদুল্লাহ আল ফুয়াদ, শেখ মুহম্মদ মারুফ হাসান, সদস্য আমিনুল হক মামুন, আবদুল ওয়াদুদ পিন্টু, মহিদুর রহমান মিরাজ, মিজানুর রহমান, আমের খান, ইমতিয়াজ সুলতান জনি, সাইফুল ইসলাম, হাসাননুজ্জামান খান বাবলু, শাকিল মাহমুদ চৌধুরী ও মোস্তাক আলী মুকুল।
সম্মিলিত পরিষদে যে ৭ প্রার্থীর ভোট আছে তারা হলেন- সহসভাপতি আতাউর রহমান ভূ্ইঁয়া মানিক, ইমরুল হাসান, সদস্য আসাদুজ্জামান মিঠু, ইমতিয়াজ হামিদ সবুজ, কামরুল হাসান হিলটন, নুরুল ইসলাম নুরু ও সৈয়দ রিয়াজুল করিম।