মোঃ শাহাদাত হোসেন
গতকাল ৩ অক্টোবর শনিবার ঢাকার একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন এর বহুল আলোচিত নির্বাচন। উক্ত নির্বাচনে কাজী সালাহউদ্দীন, বাদল রায় এবং শফিকুল ইসলাম মানিক, এই ৩ জন সভাপতি পদে নির্বাচন করেছেন। বাফুফের নির্বাচন নিয়ে এবার অনেক নাটকীয়তা লক্ষ্য করা গেছে। কাজী সালাহউদ্দীন বিরোধী বিভিন্ন চিত্র দেখেছে দেশের মানুষ। সভাপতি পদে নির্বাচনের জন্য নমিনেশন পেপার কিনে সেটি ৪০ মিনিট পর প্রত্যাহার করেছিলেন বাদল রায়। এরপর আবার সংবাদ সম্মেলন করেও ঘোষণা দিয়েছিলেন নির্বাচন হতে সরে যাওয়ার। ভোটের আগের রাতে হঠাৎ সবাইকে চমকে দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আবার নিজের জন্য ভোট চান বাদল রায়। ওদিকে নানা গুঞ্জন ও শংকা থাকলেও শেষ পর্যন্ত ভোটের মাঠে ছিলেন শফিকুল ইসলাম মানিক। তবে শুরু হতেই নির্বাচন নিয়ে নির্ভার এবং আত্মবিশ্বাসী ছিলেন কাজী সালাহউদ্দীন।
যারা না জেনেই বহু জান্তার ভাব ধরেছিলেন তাদের জন্য একটি তথ্য দিতে চাই। বাফুফে নির্বাচনের নিয়ম অনুযায়ী সকল প্রার্থীকে নমিনেশন পেপার পূরন করার সময় দুটি তথ্য পূরন করতে হয়। প্রার্থীর পক্ষে ১ জন প্রস্তাবকারী ও ১ জন সমর্থনকারী। প্রস্তাবকারী ও সমর্থনকারী দুইজনকেই বাফুফে নির্বাচনের ভোটার হতে হয়। এটা সকল প্রার্থীর জন্য প্রযোজ্য। মজার ব্যাপার হচ্ছে সভাপতি পদে শফিকুল ইসলাম মানিক ভোট পেয়েছেন মাত্র ১টি! তার মানে তাকে যে দুইজন প্রস্তাব ও সমর্থন করেছিলো তাদের একজন ভোট দেয়নি। আবার এটাও হতে পারে তাদের দুইজনের একজনও তাকে ভোট দেয়নি! ৩য় কোন ডেলিগেট তাকে ভোট দিয়েছেন।
বাফুফের নির্বাচন নিয়ে বহু নাটকীয়তা ও খেলা আমরা দেখেছি। কিন্তু সব কিছুকে বোধহয় ছাড়িয়ে গেছে এই বিষয়টিই। মানিক কার ভোট পেলেন সেটাই এখন বিরাট প্রশ্ন!