ইকবাল হাসান:
দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচের দ্বিতীয় ম্যাচে তাসকিনের উত্তাপের পরও দুই ব্যাটসম্যান ইমরুল কায়েস ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ প্রত্যয়ী ব্যাটিং উপহার দেন।
দ্বিতীয় ম্যাচে প্রথম থেকেই নিজের কাজ সুচারুভাবে করে যেতে থাকেন তাসকিন। ফলে, ৩৬ রান তুলতেই ডেসিংরুমের পথ ধরেন একাদশের দুই টপ অর্ডার সাইফ হাসান ও নাজমুল হোসেন শান্ত। কিন্তু ব্যতিক্রম ছিলেন কায়েস-মাহমুদুল্লাহ।
দুজনই খেলেছেন পঞ্চাশ ঊর্ধ্ব ইনিংস। মাহমুদুল্লাহ করেছেন ৫৬ রান ও ইমরুল করেছেন ৬০ রান। আর তাতেই দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচের প্রথম দিন শেষে ৮ উইকেটে ২৪৮ রানের সংগ্রহ পেয়েছে ওটিস গিবসন একাদশ। দলের হয়ে লিটন দাস খেলেন ৪৪ রানের ইনিংস, যা তৃতীয় সর্বোচ্চ।
এদিকে প্রথম ম্যাচের মতো দ্বিতীয় ম্যাচেও তাসকিনের পারফরমেন্স নজর কারা। দ্বিতীয় ম্যাচেও ১১ ওভার বল করে ৪৪ রানের বিনিময়ে তাসকিন আহমেদ তুলে নিয়েছেন ৩ উইকেট।
তার প্রথম দুই উইকেটের একটি সাইফের অন্যটি শান্তকে। সাইফকে ৭ রানে করেছেন কট অ্যান্ড বোল্ড আর শান্তকে ২ রানে তুলে দিয়েছেন ইয়াসির আলী রাব্বির নিরাপদ তালুতে।
প্রথম ম্যাচে ইমরুল কায়েস জ্বলে উঠতে না পারলেও দ্বিতীয় ম্যাচে আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন তিনি। প্রথম দিকের ব্যাটিং দেখে অনেকেই সেঞ্চুরির আশা দেখছিলো কিন্তু শেষে তাসকিনের তৃতীয় শিকার হয়ে ব্যক্তিগত ৫৬ রানে ফিরেন।
টেস্ট দলে থাকা না থাকা নিয়ে সংশয়ে থাকা মাহমুদুল্লাহ তার ইনিংস দিয়ে সে সংশয় অনেকটাই দূর করে দিয়েছেন। ছোট ছোট রান, কাট, ফ্লিক ও ড্রাইভে তিনিও সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা করে দেখাতে পারেননি। ব্যাক্তিগত ৫৬ রানে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের বলে ফিরেছেন কট অ্যান্ড বোল্ডের ফাঁদে পড়ে। তারপর তিনে ৪৪ করা লিটন দাসকে ফিরিয়েছেন আল আমিন ও ছয়ে নামা সৌম্য সরকার ২৬ রানে তাইজুলের বলে নুরুল ইসলাম সোহানের গ্লাভসে ধরা পড়েছেন।
সবাই ব্যাটে, বলে রান করলেও হটাৎ ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ মিঠুন হয়ে গেছেন বোলার। ৮ রানে নাইমকে ক্লিন বোল্ড ও এবাদত হোসেনকে রানের খাতা খোলার আগেই বোল্ড করেন তিনি। তবে, দিন শেষে ২৯ রানে মোসাদ্দেক ও ০ রানে অপরাজিত আছেন রুবেল হোসেন।