ইকবাল হাসান:
ফুটবলকে বাঁচিয়ে রাখতে জাতীয় দলের পাইপলাইন কিংবা ক্লাব পর্যায়ে ভালো মানের ফুটবলার তুলে আনার বিকল্প নেই। তাই, নিয়মিত জেলা লিগ এবং কমপক্ষে দুটি করে টুর্নামেন্টের সাথে শের ই বাংলা কাপ নিয়মিত করার পরিকল্পনা বাফুফের। সদ্য নির্বাচিত সিনিয়র সহ-সভাপতি সালাম মুর্শেদী। তৃণমূলের ফুটবলকে চাঙ্গা করার পরিকল্পনাও রয়েছে বাফুফের। এর জন্য ৮টি বিভাগে সহ-সভাপতিদের দায়িত্ব ভাগ করে দেয়ার কথাও জানান এই সংগঠক।
এই নির্বাচনের আগে ৩৬ দফার ইশতেহার দিয়েছে কাজী সালাউদ্দিনের সম্মিলিত পরিষদ। অতীতে ইশতেহার শুধু কাগজে-কলমেই ছিলো। তাই, এবারের পরিকল্পনাকে বাস্তবায়ন করতে ও অতীতের ব্যর্থতা ভুলে এবার সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে সঠিক পরিকল্পনা মাফিক কাজ করতে চায় সালাম মুর্শেদী।
পাইপলাইনের খেলোয়াড় প্রসঙ্গে বাফুফে’র নব নির্বাচিত সিনিয়র সহ-সভাপতি সালাম মুর্শেদী বলেন, ‘খেলোয়াড় যদি পাইপলাইনে বাড়াতে হয় তাহলে নিয়মিত ডিস্ট্রিক লিগ ও আরো দুটি টুর্নামেন্ট এর সাথে যুক্ত করতে হবে। এছাড়া, অনুর্ধ্ব-১৭ এবং শেখ কামাল চ্যাম্পিয়নশীপ করবো। সেই সাথে শের ই বাংলা কাপ নিয়মিত করার পরিকল্পনাও আছে।’
তৃণমূল ফুটবলকে চাঙ্গা করতে ৮ বিভাগের দায়িত্ব ৪ জন সহ-সভাপতিকে দেয়ার যে কথা বলা হয়েছে, সে প্রসঙ্গে সালাম মুর্শেদী বলেন, ‘খুলনা -বরিশাল বিভাগের দায়িত্ব আমি নিব। সেই সাথে চার সহ সভাপতি বাকি বিভাগ ও জেলা পর্যায়ের লিগ গুলোকে নিবিড় পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি তাদের খেলায় সম্পৃক্ত করাই হবে আমাদের দায়িত্ব।’
এছাড়া, সালাম মুর্শেদী ক্লাবগুলোকে খেলোয়াড় বাড়ানোর পরামর্শ দেন। কারন, দেশে কিংবা বিদেশে আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে জাতীয় দলের খেলা হলেই লিগ বন্ধ রাখতে হয় বাফুফেকে। এতে করে ঘরোয়া ফুটবলে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে বলে মনে করেন সালাম মুর্শেদী। তাই, ক্লাব গুলোকে খেলোয়াড় বাড়ানোর পরামর্শ দিলেন তিনি।
উল্লেখ্য, সম্মিলিত পরিষদ থেকে নির্বাচিত নতুনদের যোগ্যতা ও সক্ষমতা বিবেচনা করে দায়িত্ব ভাগ করে দেয়ার কথা জানান সালাম মুর্শেদী।