ইকবাল হাসান:
আগামী মাস থেকে শুরু হতে যাওয়া অস্ট্রেলিয়া-ভারত সিরিজের সূচী না হতেই ভারত জুড়ে দিয়েছে কিছু শর্ত।
ভারতীয়রা বক্সিং ডে টেস্টের পর নিউ ইয়ার টেস্ট খেলতে রাজি নয়। এই নিয়ে ক্ষেপেছেন অ্যালান বর্ডার। সিরিজটি নিয়ে বর্ডারের এমন মাথাব্যথা কারন, ভারত আর অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার এই সিরিজটি পরিচিত বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি হিসেবে।
২৫ ডিসেম্বর বড়দিনের পরদিন থেকে শুরু হয় বক্সিং ডে টেস্ট। এরপর ৩ জানুয়ারি শুরু হয় নিউ ইয়ার টেস্ট। যুগের পর যুগ এভাবেই খেলে এসেছে অস্ট্রেলিয়ানরা। শুধু বিশ্রামের জন্য ৭ জানুয়ারি থেকে খেলা শুরু করার পক্ষপাতী নয় অ্যালান বর্ডার। এই নিয়ে তিনি বলেছেন, ‘এটা কোনোভাবেই নেগোশিয়েট করার বিষয় নয়। যদি বিশ্বব্যাপী চলমান ভাইরাসের কারণে ম্যাচ পেছানোর কথা হতো, তাহলেও বিষয়টি ভাবা যেত। কিন্তু শুধুমাত্র তাদের বিশ্রাম দরকার সেজন্যে বক্সিং ডে টেস্ট এবং নিউ ইয়ার টেস্ট পেছাতে হবে, এটা খুবই অযৌক্তিক দাবি। এটা ‘রাবিশ’ একটা দাবি।’
বর্ডার আরো বলেন, ভারতীয়রা আমাদের সঙ্গে মাইন্ডগেম খেলতে চায়। তারা মনে করে, ক্রিকেট বিশ্বের তারাই নিয়ন্ত্রক। যদি আর্থিক দিক থেকে ভাবে তাহলে ঠিক আছে। তবে সবসময়ই নিজেদেরকে প্রভাবশালী ভাবা ঠিক না। কিন্তু সূচির কথা যদি বলেন, আমি বলবো এটা শুধুই আমাদের ব্যাপার। এই তারিখগুলোতেই আমরা খেলবো এবং তাদেরকে আমাদের কথা মানতে হবে। আপনি অনেককিছু নিয়ে নেগোশিয়েট করতে পারেন কিন্তু এই তারিখগুলো আমাদের ঐতিহ্য। এসবে আমরা ছাড় দিবোনা।
শুধু তারিখ নয় ভেন্যু দেখিয়েছে বিসিসিআই।
তারিখ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলতে থাকলেও ভারতীয়দের দাবির মুখে ভেন্যু সরিয়ে নিয়েছে ব্রিসবেন থেকে। এমন সিদ্ধান্তেরও তীব্র সমালোচনা করেছেন বর্ডার। তিনি বলেন, অনেক বছর ধরেই ব্রিসবেন টেস্ট হয় সিরিজের ১ম ম্যাচ। এভাবেই চলছে। এটা দারুণ একটা গ্রাউন্ড। এখানে আমাদের গ্রীষ্মের শুরুটা চমৎকার হয়। কিন্তু ভারতীয়রা ব্রিসবেনে ১ম টেস্ট খেলতে চায়না, এমনটা হতে পারেনা। এটা তাদের বলার মতো বিষয় না। আমাদের উচিত বলা যে, এই হচ্ছে ভেন্যু এবং এই হচ্ছে তারিখ, এরমধ্যেই তোমাদেরকে খেলতে হবে। কখন খেলা হবে, কোথায় খেলা হবে সেটা আমাদের বিষয়। এটা নিয়ে একচুল পরিমান ছাড় দেয়াও ঠিক হবেনা।
উল্লেখ্য, ভারতীয়দের দাবি মতে সিরিজ শেষ হবে ১৯ জানুয়ারি। যেটি মূলত শেষ হয়ে যাওয়ার কথা আরো আগেই। এখন ১৯ জানুয়ারি সিরিজ শেষ করতে গেলে আর ক্ষতির মুখে পড়বে সম্প্রচার প্রতিষ্ঠান চ্যানেল সেভেন। কারণ, ১৪ জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন। তখন মানুষের ক্রিকেটের প্রতি আগ্রহ কমে যাবে। এর জন্য, সবকিছু বিবেচনা করে এরইমধ্যে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি করেছে চ্যানেল সেভেন।