মোহাম্মদ মাসুমঃ
মানুষ হাঁটতেও পারে আবার দৌড়াতেও পারে(অন্যান্য প্রাণীদেরও দুই প্ৰকার গতি রয়েছে, হাঁটা এবং দৌড়ানো)।মানুষকে প্রশ্ন করতে হবে,কেন মানুষের মধ্যে দৌড়ানোর সক্ষমতা রয়েছে(জন্মগত বা সৃষ্টিগতভাবে)?

মানুষ ব্যতীত ( উন্মুক্ত ভাবে বিচরণশীল)প্রতিটি জীব তাদের জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত প্রতিদিন দৌড়ায় এবং হাঁটাচলা করে। অধিকাংশ মানুষ দৌড়ানো প্রায় ভুলেই গিয়েছে (অথচ শিশু বয়সে মানুষ হাঁটার চেয়ে দৌড়ানো বেশি পছন্দ করে)।মানুষের জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল হল দৌঁড়ানো পরিত্যাগ করা।প্রতিটি মানুষ প্রতিদিন যদি দুইচার মিনিটও দ্রুতগতিতে দৌড়ায় তাহলে হৃদরোগ ,স্ট্রোক অনেকাংশে প্রতিরোধ করতে পারে।মনে রাখতে পারে যিনি দৌড়াতে পারে তিনি খুব সহজেই হাঁটতে পারে কিন্তু হাঁটতে সক্ষম অসংখ্য মানুষের দৌঁড়ানোর ক্ষমতা নেই।তাই হাঁটার চেয়ে দৌঁড়ানো অনেক বেশি স্বাস্থ্যসম্মত।

বর্তমান যুব সমাজকে এখন নানাভাবে হতাশাগ্রস্ত ও দ্বিধাগ্রস্ত হতে দেখা যায় স্বচক্ষে! এর কারণ মূলত হাতে হাতে মুঠোফোন বা স্মার্টফোন নামক আধুনিক ডিভাইস! যার ফলে মানসিক ও শাররিক ভারসাম্য অনেকটাই লুপ পাচ্ছে। এই হতাশাগ্রস্ত ও দ্বিধাগ্রস্ত থেকে বের হতে প্রতিদিন নিয়মিত করে ১০/১৫ মিনিট দৌঁড়ানো উচিত।
শরীর সুস্থ রাখতে দৌঁড় এক দারুণ উপকারী ব্যায়াম। দৌঁড়ানোর ফলে প্রাণশক্তি বৃদ্ধি পায় এবং কর্মক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। হ্রদপিন্ড সুস্থ রাখতে সাহায্য করে এই সাধারণ অভ্যাস।
যাদের সারাদিনের একটা বড় সময় বসে কাজ করতে হয় বা শারীরিক পরিশ্রম কম হয়ে থাকে তাদের জন্য দৌঁড়ানোটা অত্যন্ত উপকারী।

আপনারা খুব ভোরে এক ঘন্টা বা আধা ঘন্টার মতো সময় বের করে নিতে পারেন। দৌঁড়ালে শরীরের প্রতিটি পেশী সচল থাকে। মন ভালো রাখার ক্ষেত্রে মানসিক চাপ দূর করে।
মানুষের শারীরবৃত্তীয় কার্যাবলী সবচেয়ে ভাল হয় দৌড়ানোর মাধ্যমে।যারা প্রতিদিন নিয়মিতভাবে একঘন্টা হাঁটাচলা করছেন না,তারা মহাভুল করছেন,আর যারা নিয়মিত হাঁটছেন কিন্তু হাঁটার সময়ে কিছুটা দৌড়াচ্ছেন না,তারাও অল্পবিস্তর ভুল করছেন আর যিনি প্রতিদিন কিছুটা সময় দৌড়াচ্ছেন তার জীবন-যাপন সঠিক পথেই রয়েছেন।
নিয়মিত দৌড়ানোর মাধ্যমে এজমা বা শ্বাসকষ্টের মত রোগ যা ওষুধ সেবনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় কিন্তু সম্পূর্ণভাবে নিরাময় করা সম্ভব হয় না তাও সারিয়ে তোলা সম্ভব(ওষুধ ব্যতীত)।তাছাড়া যারা নিয়মিত দৌড়ায় তাদের চোখের দৃষ্টি শক্তি প্রখর হয় এবং চল্লিশের পরে চশমা নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা হয় না বললেই চলে।তাই নিয়মিত হাঁটার চেয়ে দৌড়ানো অনেক অনেক বেশি উপকারী।