ইকবাল হাসান:
পাকিস্তানের ঘরোয়া ক্রিকেটের আসরে এক ক্রিকেটারকে ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দেয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পাওয়া ক্রিকেটার পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড-পিসিবির অ্যান্টি করাপশান ইউনিট (আকু) তে রিপোর্ট করেছেন। পিসিব অভিযোগটি গুরুত্বের সাথে পর্যালোচনা করে অধিকতর তদন্তের স্বার্থে তারা যোগাযোগ করেছে ফেডারেল ইনভেস্টিগেটিং এজেন্সির (এফআইএ) সঙ্গেও।
সেই ক্রিকেটারের সম্পর্কে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড কিছু না জানালেও এটুকু নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে সেই ক্রিকেটার এখনো পাকিস্তানের হয়ে কোন আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে নি। তবে, ঘরোয়া ক্রিকেটের নিয়মিত সদস্য।
পিসিবি ঘটনাটি স্বীকার করে জানিয়েছে, ‘রাওয়ালপিন্ডিতে ম্যাচ চলাকালীন একজন সন্দেহভাজন ব্যক্তি ওই ক্রিকেটারকে ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দেন। ‘
পিসিবি’র অ্যান্টি করাপশান ইউনিটের ডিরেক্টর লে. কর্নেল (অব.) আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘অভিযোগের বিষয়ে আমি সংশ্লিষ্ট ওই ক্রিকেটারের সঙ্গে কথা বলেছি। তাকে ধন্যবাদ পিসিবির দুর্নীতি দমন কমিশনের আইন মেনে চলায় এবং বিষয়টি আমাদেরকে জানানোয়। তার রিপোর্ট অনুযায়ী অভিযোগটি আমরা তদন্ত করছি এবং আমরা বেশকিছু স্পর্শকাতর তথ্যও পেয়েছি। সেসব আমরা এফআইএর কাছে হস্তান্তর করেছি। এ বিষয়ে তদন্তে তারা আমাদেরকে সাহায্য করবে।’
আসিফ মাহমুদ আরও বলেন, ‘আমরা চলমান তদন্তকে বিপদের মুখে ঠেলে দিতে চাই না। তাই প্রস্তাব দেয়ার উপায় কিংবা ওই ক্রিকেটারের নাম কোনোকিছুই আমরা এখন প্রকাশ করতে পারি না। তবে এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হবে এটুকু নিশ্চিত।’
ফিক্সিংয় কমানোর জন্য পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড প্রতিটি ক্রিকেটারের বোর্ড অনুমোদিত একজন করে এজেন্ট রাখাও বাধ্যতামূলক করে দেয়। এছাড়া, ক্রিকেটারদের সচেতন করতে শিক্ষামূলক বিভিন্ন কার্যক্রমও হাতে নিয়েছে তারা। তারপরও দেশটিতে ফিক্সিংয়ের হার কমানো যাচ্ছেই না!
উল্লেখ্য, ক’দিন আগে চলমান ভারতীয় প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) এক ক্রিকেটারকে ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ওই ক্রিকেটার।