ইকবাল হাসান:
বৃহস্পতিবার অনলাইনে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ডমিঙ্গো বলেন, ‘আমি খুবই খুশি। এই টুর্নামেন্টের কারণে অনেক ভালো একটা প্রভাব পড়বে ক্রিকেটারদের ওপর। ৭ মাস পর ক্রিকেটাররা প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফিরেছে। উইকেট কিছুটা সহজ হলেও, ব্যাটসম্যানরা ধীরে ধীরে রান পাচ্ছে। এছাড়া তরুণ অনেক ক্রিকেটার খেলছে। এতে তাদেরকেও পরখ করে নেয়ার সুযোগ থাকছে।’
ডমিঙ্গোর মতো ওর বাংলাদেশও খুশি। করোনার জন্য দেশের ক্রিকেটে দীর্ঘ বিরতি দেখা গিয়েছে। কিন্তু শেষমেশ এরকম জমকালো একটি টুর্নামেন্ট দিয়ে মাঠে ক্রিকেট গড়ানোয় সকলেই খুশি। বোলাররা প্রথম থেকে ভালো করলেও ব্যাটসম্যানরা ধীরে ধীরে রানে ফিরেছে।
বোলারদের মধ্যে বিশেষ করে জাতীয় দলের পেসার রুবেল হোসেন, মুস্তাফিজুর রহমান ও তাসকিন আহমেদ ফিরেছেন ছন্দে। এই টুর্নামেন্টে জাতীয় দলের খেলোয়াড় ছাড়াও খেলছে অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ জয়ী ও ঘরোয়া লিগে ভালো খেলা কিছু খেলোয়াড়। এতে কোচের জন্য সুবিধা হয়েছে সম্ভবনাময়ী খেলোয়াড় খুঁজে বের করতে। সবাই পারফরম্যান্স করলেও তরুণদের পারফরম্যান্স নজর কেড়েছে ডমিঙ্গোর।
এই ব্যাপারে ডমিঙ্গো বলেন, অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ জয়ী দলের রিশাদ, হৃদয় ওরা অনেক ভালো খেলছে। ওদের খেলা আমি বেশ উপভোগ করছি। ওরা খেলায় ফিরেছে এটাই বড় বিষয়। ওদের এনার্জি লেভেল অনেক ভালো। অভিজ্ঞদের পাশাপাশি তরুণরাও ধীরে ধীরে ফর্মে ফেরার চেষ্টা করছে।
সবার দিন সমান যায় না- এই কথাটি ভালোই জানেন ডমিঙ্গো। তাইতো শিষ্যদের হতাশ হতে মানা করেছেন তিনি। পরবর্তীতে ভালই খেলে ম্যানেজমেন্টের সুনজরে আসার সুযোগ থাকছে সবার, সেটি মনে করিয়ে দিলেন কোচ।
এই বিষয়ে ডমিঙ্গো বলেন, আমার মনে হয় ক্রিকেটারদের যাচাই-বাছাইয়ের জন্য এই টুর্নামেন্ট উপযুক্ত প্লাটফর্ম নয়। কারণ সব ক্রিকেটাররা অনেকদিন মাঠের বাইরে ছিলো, ক্রিকেটের বাইরে ছিলো। অনুশীলনের বাইরে ছিলো। তাই এখনই কাউকে পরখ করা সম্ভব নয়। তবে, তরুণ আর নতুন ক্রিকেটাররা খেলছে। তাদেরকে পরখ করার একটা সুযোগ তৈরি হয়েছে।