ইকবাল হাসান:
বাংলাদেশ ফুটবলে আরামবাগ একটি পরিচিত নাম। কিন্তু ক্যাসিনো সম্পৃক্ততা ধ্বংস করে দিয়েছে আরামবাগের অর্থনৈতিক কাঠামো। সাংগঠনিক দক্ষতা দিয়ে সেই ভঙ্গুর অবস্থান পরিবর্তনের চেষ্টা চললেও তাদের দাবি একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালার। যাতে করে প্রভাবশালী কেউ যেনো ক্লাব যখন করে অনৈতিক কিছু না করতে পারে।
আরামবাগ ক্লাব প্রতি মৌসুমে প্রায় ৬৯-৭০ লাখ টাকা দিয়ে দল গোছায় কিন্তু ২০১৮ এর ফেডারেশন কাপের জন্য ৫ কোটি টাকা খরচ করে। চ্যাম্পিয়নও হয় দল। তবে, এই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব, আনন্দ বেশিদিন স্থায়ী হয় নি। তালা ঝুলেছে ক্লাবের গেটে। তবে, এখনো সাংগঠনিক দক্ষতাকে পুঁজি করে আরামবাগ এখনো দল গোছায়।
ভারপ্রাপ্ত সহ-সভাপতি এজাজ জাহাঙ্গীর বলেন, এটা আসলে ক্লাবের কোন হাত ছিল না। উচ্চ পর্যায়ের রাজনৈতিক পটভূমিতেই হয়েছিল আবার সেভাবেই ধ্বংসও হয়েছে। মাঝখানে আমাদের অবস্থা শেষ। আমাদের মানসম্মান নিয়ে টানাটানি হয়েছে। আমরা স্বচ্ছল ছিলাম সেটাও বন্ধ হয়ে গেছে।
২০১৬ তে অনেকটা জোর করে। আরামবাগের সভাপতি হন মুমিনুল হক সাইদ। তার প্রভাবে কোনঠাসা হয়ে পড়েন সংগঠকরা। ক্যাসিনোতে শুরু হয় ক্লাবের অবৈধ উপার্জন। তাতে স্বচ্ছলতা আসলেও মেনে নিতে পারেনি অনেকেই। ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াইয়ে এমন ঘটনার আর পুনরাবৃত্তি চাননা তারা।
এজাজ জাহাঙ্গীর আরো বলেন, আমাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে অনেকসময় আমাদের ক্লাব হাতছাড়া হয়ে যায়, আমরা কিছু করতে পারিনা। সেই বিষয়গুলো লোকাল থানা নাহয় ক্রীড়া পরিষদ হোক একভাবে একটা উপায় বের করা উচিত। সরকার হোক যেই হোক স্পোর্টসের স্বার্থে এই তালাগুলো খুলে দিতে হবে। আমরা আর লোভলালসায় পড়তে চাই না।
উল্লেখ্য, ক্লাব বন্ধ থাকায় গেল মৌসুমে রাস্তায় দাড়িয়ে দলবদল করেছিলো আরামবাগ। এই অবস্থার দ্রুত সমাধান চান সংগঠকরা। শীঘ্রই নতুন কমিটি হবে, এতে পরিচ্ছন্ন মানুষের হাত দায়িত্ব যাবে। তাদের হাত ধরেই কলঙ্কমুক্ত দিনে ফেরার প্রত্যাশা।