ইকবাল হাসান:
বঙ্গবন্ধু টি-টুয়েন্টি কাপের ফাইনালে উঠেছে মুশফিকের বেক্সিমকো ঢাকা ও মাহমুদউল্লাহর জেমকন খুলনা।
আজ দিনের প্রথম ম্যাচে বেক্সিমকো খুলনার সাথে দেখা হয় বরিশাল ফরচুনের। ঢাকার দেয়া ১৫১ রানের টার্গেটে ১৪১ রানে থামে বরিশালের ইনিংস। দলের অধিনায়ক তামিম ইকবাল ভালো করতে না পারলেও আফিফের ঝড়ো ৫০ রানের ইনিংস বরিশালকে স্বস্তি দিয়েছিলো। কিন্তু জেতাতে পারে নি। বরিশাল ব্যাটিংয়ে নামার আগে ঢাকা ব্যাটিংয়ে নেমে বিপর্যয়ে পড়লেও মুশফিক ও ইয়াসির আলীর ব্যাটে লড়াই করার মতো পুঁজি পায়।
এই ম্যাচে যদিও ফিল্ডিংয়ের সময় মুশফিকের সাথে ঢাকার স্পিনার নাসুম খানের এক অন্যরকম সংঘর্ষ হয়। যদিও নাসুম ঘটনাটিকে ম্যাচের হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।
দিনের অপর ম্যাচে মাঠে নেমেছিলো জেমকন খুলনা ও চট্টগ্রাম। জহিরুল ব্যাটে ভর দিয়ে খুলনা ২১১ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দেয় চট্টগ্রামকে। খুলনার ইনিংসে প্রথম দিকে জহিরুল, জাকির ও ইমরুল হাল ধরলে শেষের দিকে সাকিব, মাহমুদউল্লাহ ও আরিফুল হক ফিনিশিং দেন।
২১১ রানের জবাব দিতে নেমে দারুন শুরু করে চট্টগ্রামের দুই ওপেনার লিটন ও সৌম্য। সৌম্য শূন্য রানে আউট হলেও লিটন তার তান্ডব চালিয়ে যেতে থাকে। তবে, বেশিদুর যেতে পারেন নি। ২৪ রানে থামতে হয় তাকে। মাহমুদুল হাসান জয়, শামসুর রহমান, মোসাদ্দেক ছোট ছোট রান করলেও যথেষ্ট ছিলো না ২১১ রান টপকাতে। তবে, এদিক ব্যতিক্রম ছিলেন চট্টগ্রামের অধীনায়ক মোহাম্মদ মিথুন। তিনি শেষ চেষ্টায় তিন ৪ ও তিন ৬- য়ে ৫৩ রান করেন। তবুও খুলনার জয় আটকাতে যায় নি।
এই ম্যাচেই হটাৎই শুরু হয় মাশরাফি তান্ডব। এখনো দেখিয়ে চলেছেন বুড়ো হাড়ের ভেলকি। এদিন তিনি চার ওভারে ৩৫ রান খরচায় ৫ উইকেট শিকার করেন। এছাড়া, হাসান মাহমুদ, আরিফুল দুটি এবং সাকিব একটি উইকেট নেন। এতে খুলনা জয় পায় ৪৭ রানে এবং চট্টগ্রাম আটকে যায় ১৬৩ রানে।
প্রসঙ্গত, সামনের ফাইনালে খেকবে জেমকন খুলনা ও বেক্সিমকো ঢাকা